No-কিস
No-কিস
-Dip Saha Chowdhury( #রোদ্দুর)
কখনো ধরুন এমন হল সারাদিন
বৃষ্টি হচ্ছে, রোদ্দুরের দেখা নেই , এমন ভাবসাব যেন মেজোবাবু অনেকদিন কাজের পর
ছুটি পেয়েছেন । আর ছুটি পেয়েই কুম্ভকর্নের ঘুম দিয়েছেন আজ আর ওঠার নামটি নেই। ঠিক
এমন সময় হঠাৎ রোদ্দুর উঠলো, নাহ! বৃষ্টি কিন্তু থামেনি অর্থাৎ বৃষ্টি আর রোদ্দুর
একই সাথে বিরাজমান, কথায় বলে যে এই সময় নাকি শেয়াল কুকুরের বিয়ে হয়। অর্থাৎ বলতে
চাওয়া হয় যে বিশ্বের ঝগড়ুটেরাও এই সময় প্রেমে পরে যায়। আর একটা প্রবাদ তো আছেই, যে
যত ঝগড়া ততই প্রেম? অন্যান্য গল্পের মতো এ গল্পের কোনো শুরু নেই, হয়তো এর শেষও
নেই। কারন আমার মতে ভালবাসার কোনো শেষ
নেই, শুরু বরং আরোই নেই
শ্রাবন মাসের তিলোত্তমা, আগের
রাতের বৃষ্টিতে ভেসেছে শহর , আজকেও বৃষ্টি থামেনি , রবিবার সুতারাং নিশ্চুপ
তিলোত্তমা। এই অবস্থাতেই বেড়িয়ে পড়েছে রোহিত, কাল রাতে জোর ঝামেলা হয়েছে মিলির
সাথে। ওদের ঝামেলার কোনো কারন নেই । এই ওরা সোনা... বাবু... এইসব টিপিকাল প্রেম
করছে, আবার একটু পর সিরিয়াস প্রেম মানে, ঐ বকা ঝকা, শাসন বারন আবার, মাঝ-রাতের
ঝামেলা, ঝগড়া, ওরা সব পারে, ওদের প্রেম এসিতে বসে কফি খাওয়ার প্রেম না, ওদের প্রেম
ফুচকা, তেতুল জলের প্রেম। তো কাল রাতের ঝামেলার কারন হচ্ছে কিস, ঠিকই শুনেছেন,
কিসসসসস...
আসলে ব্যাপারটা হয়েছে ৬ মাসের
প্রেম ওদের বা তারও বেশি কিন্তু কেউ কাকে কিসস করেনি। বাইরে দুজনে এমন ভাব করে যেন
খুব সাহসি, হ্যানা করেছে, চাঁদ এনেছে, বৃষ্টি নামিয়েছে কিন্তু ওদের ঠোঁট কাছাকাছি
এলেই , বুকের ধুকপুকানি বেড়ে যায়। দম আটকে আসার জোগার হয়। তারপর একেবারে যাতা...
মানে শেষে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস দিয়ে জ্বর নামে।
ওরা চেষ্টা করেনি তা না...
কিন্তু দৌর বেশি দূর এগোয় নি... তো কাল রাতে বিষয় ছিলো তার সব ফ্রেন্ড কিস করেছে
ওরা কেন কারেনি, দাবিটা মিলিরই বেশি। ওর একটাই কথা যেঃ “আমি ভিতু মানছি। তুমি কনসা
সাহসি, কিস করার নাম করলেই ঠোঁট এর চেয়ে বেশি হাঁটু কাঁপে, আরো অনেক কিছু উঠে যায়...
এই নিয়ে ফোনে ঝগড়া দেন ব্লক” , ব্লক নিয়ে
চাপ নেই। ও যখন , তখন খুলে যাবে কিন্তু কথা বলেনি যে রোহিত, সকাল থেকে তাই মন
খারাপ। তাই সকাল সকাল বাসস্টপটায় ছলে এসেছে যেখানে তাদের গল্প শুরু হয়েছিলো, একটা
মুচকি হাসি দিয়ে, এটা বলতে বাকি রাখেনা যে, একটা ছেলে সারাদিন কাঠখড় পুড়িয়ে একটা
মেয়েকে লাইন দিলেও সে পটবে না কিন্তু একটা মেয়ে যদি একটু আরচোখে তাকালে বা একটু
হাসলেই, ছেলেটা প্রেমের মাঝসমুদ্রে তরির গতি হারিয়ে হাবুডুবু খায়। সেই ছয় মাস আগে
কোনো এক হেমন্তের সকালে মিলির বাঁকা
হাসিতে মন হারিয়েছিলো রোহিত। তারপর দেখা শোনা, কাছে আসা, পাশে বসা কিন্তু নাহ। যেন
কোনো নো কিস বোর্ড টানানো ওদের মাঝে। বাসস্ট্যান্ড বরাবরের মতো ফাঁকা, কেউ নেই ,
আর যে জোরে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে কারো থাকাটা বরং অবাক কর। আসতে আসতে অনেকটা ভিজে
গেছে । রোহিত ভাবলো যে এখন কেউ এদিকে হয়তো
কেউ আসবে না তাই সে জামটা খুলে রাখলো, ভিতরের স্যান্ডো গেঞ্জিটাও ভিজেছে কিন্তু
ওটা ঠাণ্ডা লাগাবে না। কিন্তু জামটা থেকে ঠাণ্ডা লেগে জ্বর আস্তে পারে, এই মনে করে
স্যান্ডো গেঞ্জি পরে, কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে লাগলো, একদিকে ভরা বৃষ্টি
,অন্যদিকে গান, কখন ঘুমিয়ে পড়েছে রোহিত জানে না। ততক্ষনে ২০-২৫ মিনিট হয়েছে। বাসস্ট্যান্ডে ঢুকল মিলি, তারও মন খারাপ কারন এক।
কিন্তু ঢুকেই চমকে গেল মিলি এ কি? রোহিত স্যান্ডো গেঞ্জিতে। মনে মনে যেন বেড়িয়ে
এলো “সেক্সি”। ভেজা গেঞ্জিতে উফ কি লাগছে ওকে। মনে হচ্ছে আজ কিছু একটা সর্বনাশ
হবে। হতে বাধ্য। কিন্তু মিলি দেখছে ঠিক আছে । কিন্তু অন্য কেউ, মানে কোনো মেয়ে,
যদি চলে আসে। তার দৃষ্টি দিয়ে ওকে আদর করবে, নাহ এ হতে দিতে পারেনা মিলি... তাই
গলা খ্যাঁকড়ানি দিলো মিলি। কিন্তু কানে তো হেডফোন । শুনবে কি। অগত্যা ভেজা ছাতাটা
ঝাঁকিয়ে জল ছেটালো তাতে ঘুম ভাঙলো রোহিতের
কিন্তু সামনে মিলি, দেখে প্রথমে
বিশ্বাস করতে পারেনি নিজের চোখকে। তারপর নিজের গায়ে চিমটি কেটে নিশ্চিত হল
রোহিত। সুতরাং ঝামেলাটা মেটাতে হবে। তাই মিলির পাশে গিয়ে দাঁড়ালো রোহিত। কিছু বলতে
যাবে ওমনি আচমকাই মিলি ঠোঁট কামড়ে ধরল রোহিতের। রোহিত নিজেকে শপে দিলো মিলির হাতে,
মিলির জিভ তখন বজ্রবেগে ছুঁয়ে চলেছে রোহিতের জিভ। রোহিত অনুভব করলো যে তার
গেঞ্জিটা আস্তে আস্তে ছিঁড়ছে। তার পিঠে পড়ছে আঁচরের দাগ। মিলির গলায় একটি কামড়
বসিয়ে দিলো রোহিত, লাভ বাইট, দূরে তখন বৃষ্টির মাঝে রোদ উঁকি দিচ্ছে... জলের মাঝে
ঝিকমিক করছে রোদ্দুরের আদর। হয়তো ওরাও প্রেম। ভালোবাসতে জানে
Comments
Post a Comment